আমার হল না
রাস্তার মাথায় দাড় করিয়ে দিয়ে এক মধ্যরাতে আপনি বলেছিলেন
কোনোদিকে না তাকিয়ে সোজা চলে যেতে বরাবর – রাস্তার শেষে মুক্তি।
কিছু সুললিত মন্ত্রে পাঠ দিয়ে এক ভোরে আপনি বলেছিলেন
আর কোনো বাক্য নয় জপ মন্ত্র তপ তন্ত্র – মন্ত্রেই হবে শুদ্ধি।
মোড়কে বাঁধানো পুস্তক হাতে তুলে দিয়ে এক সকালে আপনি বলেছিলেন
কোনো অক্ষর কোনো ব্যাকরণ আর প্রয়োজন নেই – এতেই রয়েছে সমাধান।
আমার কম্পমান শরীর সবলে জাপটে ধরে এক দুপুরে আপনি বলেছিলেন
তোমাকে দিলাম বিশ্বাস, আর কোনো প্রশ্ন নয় – এই সেই মহাজ্ঞান।
আমি সেই রাস্তা ধরে অন্ধ ভিক্ষুকের মত দেয়ালে প্রাচীরে
আমি সেই মন্ত্র মুখে নিয়ে অহোরাত্রি লোক লোকান্তরে
আমি সেই দুর্বোধ্য পৃষ্ঠাবলীর পায়ে পায়ে মাথা খুড়ে
আমি সেই প্রশ্নহীন বিশ্বাস খড়কুটোর মত আগলে ধরে
ভেঙ্গেচুরে এক জীবন পথের খ্যাপা ধুলো
“বলো নাম বলো নাম” দাঁড়ের ময়না পাখি
গ্রন্থের পাতায় পাতায় ইতস্তত উইপোকা
প্রশ্নহীন অপেক্ষায় অনন্ত বিশ্বাসী যক্ষ
সব জীবনই কাটানো হল একে একে কথামত আপনার
মানুষ শুধু হয়ে ওঠা হল না আমার।
(এপ্রিল ০৪, ২০১৩)