স্বৈরাচারের গোয়ালঘর
অমন করে হন্যে হয়ে
কি খুজছিস হ্যারে?
আশ্রয় চাস? চলে যানা
রাজার
গোয়াল ঘরে।
তোর মত সব পেটুক গরু
অনেক
সেথায় চরে
কেউবা আবার বেশী খেয়ে
গেছেই
শেষে মরে।
গোয়াল সেতো এমন কিছু
নয়কো বিশেষ ছোটো
তাতে আবার গেল মাসে
কম পড়েছে দুটো।
মাথার পরে ঢালবি তেল
ডুবিয়ে হাতের চেটো
চাকরি তোর ঠ্যাকায় কে রে
বইবি ঝাকামুটো।
মাঝে মাঝে দিস্ খুলে দিস্
মিথ্যে কথার হাড়ি
সত্যরে তুই দিস্ উড়িয়ে
মেরে হাতের তুড়ি।
যখন তখন লটকে দিবি
মানুষ বাড়ি বাড়ি
তবেই না তোর আসবে হাতে
টাকা কয়েক কাড়ি।
সন্ধ্যা হলেই জাবর কেটে
দেখবি টিভির ছবি
সারাদিনে চরলি কোথায়
দেখতে পাবি সবই।
ছবিটা তোর দেখাবে যেন
সফেদ দাড়ি নবী
ছন্দবিহীন কবিতা লিখে
উপাধি নিস্ কবি।
(১৯৮৬ থেকে ১৯৮৮’র মধ্যে লেখা। দেশে তখন
স্বৈরাচারী এরশাদের কৃষ্ণকাল। নষ্টামির চুড়ান্ত। দুপুরে মসজিদে মসজিদে, রাতে টিভি
আলো করে হাম্বা হাম্বা। পারিষদ এক কাঠি বাড়া – কে কার চেয়ে নষ্ট হতে পারে সেই খ্যামটা
নাচের আসর আমরা বড় হতে হতে দেখলাম।)
No comments:
Post a Comment