Sunday, March 6, 2011

ভিন্ন স্বর, ভিন্ন চোখ

চোখে পড়ালেই চোখে পড়ে

জেগে থাকা আর্বতনে

দুচোখ ঘোরালে – সব কিছু,

নিদেন অনেক কিছু।


ভাবা যায় – নদী আর

নক্ষত্রের রাত পরস্পর সমরূপ

সমরূপ গন্তব্যহীন সড়ক।


খোয়া ভাঙ্গা রক্তপান্ডুর আকাশে

মনে করে নেয়া সম্ভব

ছিন্ন যত্ন সড়কের সুরকি এবং ইটের

বিক্ষত সঞ্চয়

অযাচিত, অন্ধ।


রাত ছেয়ে অন্ধকার কিংবা মেঘের প্রলেপ

আপাতঃ দৃষ্টিতে যাই মনে হোক

এই বিষণ্ণ গোধূলি

ভেবে নেওয়া সম্ভব

এরা সব সব এই মেঘের কঙ্কাল সব

একদা প্রলয়ী দানব ছিল

আজ মৃত স্রোত ক্ষীয়মান বিংশশতাব্দীতে


ভাবলেই ভাবা যায়

উল্লসিত আয়োজনে

নক্ষত্রেরা শুধু,

স্রোতের আবর্তে জ্বলে ওঠা স্ফুলিঙ্গ হঠাৎ,

সংঘর্ষে নিরত সৃষ্ট।

সযত্ন মুহুর্তশুদ্ধ উল্টে আনে দ্বিতীয় আরেক

মুহুর্তের সৃষ্টির জঙ্গল।


সমস্তই ভাবনার বিষয়

মনে আসে মনে আসে

হওয়া সম্ভব। স্ফুট অতি।


সাধারণ মনে আসা, সাধারণ সব।

সাধারণ চিন্তা, চেতনার বহিরঙ্গ

প্রেরণার সজ্জা।


ভিন্নস্বর নেই

ভিন্নমত ভিন্ন দৃষ্টি নেই

অন্য পোষাক নেই কারো

পেক্ষাপট নেই কোনো।

ভিন্ন স্বর নেই

ভিন্ন চোখ নেই।

১৯৮৯

No comments:

Post a Comment