Monday, January 31, 2011

বদ্ধ ডোবা

‘হৃদ’-গুলো সব পুচকি ছোট
‘-পিন্ড’ সরু সূঁচ কি?
চিন্তা বোচকা-বুচকি কেবল
খাদ্য বেগুন-ছেচকি।
সঙ্গে পাতে হেচ্‌কি–তোলা
ঝালমাখানো কেচ্‌কি
বদ্ধ ডোবায় দেখ্‌ছি ফাটক
এবার দেবো সেচ কি?

১৯৯০ কোন এক সময়

গণ্ডী ভেঙ্গে

ঘুমন্ত শহরে প্রতিদিন বর্গী আসে
স্বপ্ন চুরি করে লোলচর্ম বৃদ্ধেরা
অলিখিত সন্ধির প্রতাপে।

ঘুমের শিয়রে জাগ্রত দুচোখে
দৃশ্যমান
সাহসের বিনিময়ে স্বর্ণ পড়ে আছে,
চেতনার বিনিময়ে।
স্বর্ণ আর স্বর্ণের আকাঙ্ক্ষা।

দিন এল - সমস্তটা দিন
দৃপ্ত পৃথিবীতে রোদের সন্ধানে
নিকষ রেখারা এসে
অন্ধকার জমা করে
দিবসের বুক চিরে।

মাটির গভীরে দেহে
ভুপৃষ্ঠে দুচোখ পেতে
ক্লান্তিহীন নিষ্পলক
কালো দাগ সরিয়ে সরিয়ে দেখা
দীপ্ত নীলাকাশে দীপ্তি
তবুও, তবুও
আজো এক পাখী
বুকের অতৃপ্ত রোমে রৌদ্র নিয়ে
গণ্ডী ভেঙ্গে চলে
কেন্দ্র ছেড়ে দূরে।

১৯৯০ কোন এক সময়

কখনোই না ফেরার জন্য

একদা প্রহর আসে দগ্ধ অপরাহ্ণে
যখন নদীর বাঁকে না ফেরার জন্যে
মনে হয় সঠিকতম সময় এই শেষ প্রহর।
নদীর ভিতরে ভিতরে যাই আরো দূর দূরতর।

এখন স্থলে উষ্ণায়নের বিপরীতে
মৃদুবর্ণ শুষ্কতা জমে ক্রমশঃ আসন্ন রাতে।
পাড়ি বরাবর প্রতিষ্টিত বৃক্ষছায়ায় চেতনার ঘুমন্ত
সারি। নির্ধারিত অথচ - এখানেই হবে যাত্রার অন্ত।

জল সহনীয়। সগতি টিকে থাকা তবুও উজানে
জল কাম্য। বিপরীতে অনাহূত সম্বোধন অবরোহনে।
জল ডাকে। অমোঘ আবর্তন। তবু এ’ অলীক অপরাহ্ণ
শ্রেষ্ঠ সময় ছিল কখনোই না ফেরার জন্য।

১৯৮৯ কোন এক সময়

Thursday, January 27, 2011

নক্ষত্র ও সমুদ্র

সে এক সমুদ্র আছে
নীল তার জলে নাকি
সময়ের ঢেউ ওঠে
ওঠে নামে নোনাজল।
নক্ষত্রের ঝিকিমিকি
ঝলসানো দেহে
নীল স্রোত ফুঁসে ওঠে
শ্বেত শীর্ষে জ্বলে
জ্বলে হাজারো নক্ষত্র।

সমুদ্র তার উত্তল দেহ নিয়ে
এক রূপসীর ভঙ্গিমায়
চেয়েছিল অবতল
নীলাকাশে যেন আঁকা হয়
ঢেউয়ের চুলে ঝিকিমিকি
দূরের নক্ষত্র।

তাই আজো তোমার বুকের ভিতর
সমুদ্র, নীলাকাশ
এবং নক্ষত্রের নিঃসঙ্গতা।

১৯৯০/০২/১৮

নিরবলম্ব জীবন

আমাদের অজ্ঞাতসারে যে প্রান

তার আবির্ভাবের প্রমাণ

রেখে গেছে অতিকায় আকারে

প্রবাহিত সড়ক ধরে

আমরা এই তুমি আর আমি যদি

ধরে নেই তার দেহ এক গর্ভলুপ্ত নদী

অন্তর্গত সমুদ্রের মন্থনে

উপসংহারে বলি সত্যকথনে

যখন চলেছি পথে আমরা স্থিত

আর এই সড়ক অনাদি প্রবাহিত।


এও কম নয় এই স্থিরায় পরিক্রমণ

অনন্ত ধারার কেন্দ্রে স্থির আসন।

হারিয়ে যাইনি স্রোতে; জাগি চর।

বেষ্টিত জল পাশে আর নীলান্ত অম্বর ।

সভ্য রাস্তা, ঘন বন, দৃশ্যপট আঁকা

নিসর্গ, ঝরনা ধারায় হঠাৎ উপত্যকা ।


খুটির প্রতীক জেগে আছি চরে

হারাইনি গলিপথে দাঁড়ার পাঁজরে

সড়কে অনন্ত শিরদাঁড়া প্রবাহিত

তুমি আর আমি আমরাই স্থিত

ধনুক নিঃসৃত তীক্ষাগ্র তীর সৌরকক্ষে

টঙ্কারে ফোটে দিগন্ত লক্ষ্যে

শুধু একাকী পর্বত প্রান্তে যেমন

সে আমাদেরই নিরবলম্ব জীবন।


১৯৯০/০৫/১৫

দহন

তোমাকে দহন করব বলেই
আমার এ’অগ্নিরুপ
রেখেছি জ্বালিয়ে আমি
নক্ষত্রের উজ্জলতা নিয়ে।

কেবলি অপেক্ষা করি
সেই প্রত্যাশায়
কখন গ্রাস করি
কিভাবে তোমাকে টানি
আগুনে আমার।

তৃষিত নক্ষত্র আমি, তুমি শান্তি জল।

অমৃতকুণ্ড দেখেছ কিসে
পতঙ্গ রমণী তুমি?

রক্তিম প্রত্যাশায় সকলি তোমার
হয়ে যেতে পারে নীল
এক ক্লান্তিময় ব্যাথা নিয়ে।

হয়ত জাননা সে আকাশে
যে চরণ আসে যায়
শোণিতের চিহ্ন নিয়ে
সেতো ক্লান্ত চিরদিন।

তবু শান্তিজল তুমি।

তোমাকে জ্বালাব বলে
বেরিয়েছি আমি
তুমিও চলেছ বুঝি
জুড়োতে সকল তাপ!

তবে মুখোমুখি আজ,
তুমিতো নেভাতে পার
আমিও জ্বালাতে পারি।

১৯৮৯/০৮/০৮

Wednesday, January 26, 2011

প্রিয়তমা মোর সুন্দরীতমারে

প্রিয়তমা মোর সুন্দরীতমারে, সময় অসময়ের এই প্রার্থনায়
বলি শোনো, নিওনা ফিরায়ে
সে কৃপা দিনান্তে অবহেলায়
বিষ হেনে দিয়েছ যা চেয়ে দেখো আজ চোখের জলে অমৃতপ্রায়
আজন্ম প্রেমিক আমি
ডুবে আছি আজো অলৌকিক মুগ্ধতায়।

২০০৭/১০/০৭

একদিন একজন্ম

একদিন সারারাত বৃষ্টি ঝরে
অন্ধকারে।
আমি আর তুমি সারারাত জানালায়
চেয়ে দেখি
সারারাত একদিন
বৃষ্টির ঝরনে নামে
আদিম বৈভব,
একদিন অন্ধকার সারারাত।

চেয়ে থাকি জানালায় অনিমেষে
যেখানে মিলেছে উভয়ের দৃষ্টি।
আর একদিন সারারাত
আলো জ্বেলে অন্ধকারে
ক্রমশই
জানালায় একদিন সারারাত ।

আদিম তৃষ্ণা দাড়িয়ে
এক আদিমতর ক্ষুধা
দু’চোখে অঙ্কনে নিবিষ্ঠ
তুমি আর আমি-
চোখের দেখার ক্ষুধা –
একদিন সারারাত।

একদিন সারারাত
ছুই ছুই তবু অছোয়া অন্ধকারে
উপবিষ্ট তুমিও তুমিও
একদিন সারারাত জানালায়
তেমনি আমাকে দেখ।

একদা জীবন, জীবন একদা গত হবে,
আলো আলো অন্ধকারে
হাত ধরে মিশে মিশে তবু
একদিন সারারাত
আর একজন্ম সমস্ত জীবন
বৃষ্টির ঝরন দেখি।

সেই দিন সেই জন্মে তুমি
সেই দিন সেই জন্মে আমি
সমস্ত জীবন বৃষ্টি ঝরা দেখি।

ঝরে পড়া বৃষ্টি ফোটা আমরা
যদিও,
একজন্মে সারাটা জীবন
আমরা উভয়ে ঝরব
বৃষ্টির অঙ্গাত জলকণা হয়ে
দুজনের খুব কাছাকাছি দুইজনা।

একদিন সারারাত
একজন্মে সমস্ত জীবন
শুধু তুমি আর আমি।

১৯৯০/০২/১২

ধৃষ্টতা

রয়ে গেছে
অস্পর্শী এক দিগন্ত পথ
পদচিহ্ন নেই
কোথাও সেখানে চিন্তার রেখা নেই।

সার সার বৃক্ষ মাথা উঁচু করে ধৃষ্টতা প্রকাশ করে।
অজেয়তার গল্প তাদের
পরম্পরায়।
রক্তিম প্রবাহে জ্বলে ওঠে প্রথম – অগ্নি।
আমারো ধৃষ্টতা হবে অতীত- শূন্য
পদক্ষেপ মাড়িয়ে যাবে ঐ দেশ
জয় করা হল এই অজেয়তার
বৃক্ষতর গর্বে।

ঘোর

উত্তরে নামে হিম
দীর্ঘ রাত্রি সন্ধ্যা আদিম
মেপল পাতার ফাঁকে ঘোরের ডালিম
আর
অন্তর্জলির ওপার হতে ভেসে আসেন আব্দুল আলীম।

২০১১/০১/২৬

শীতের বিকেলে এই

জীবন খুজতে চলেছি আমরা
মৃত পাতাদের মাঝে,
শীত বিকেলের শেষ রোদটুকু নিয়ে
অগ্নিপিণ্ড জ্বালাবো বিশাল।

চারিদিকে ঝরা পাতা
সহস্র বর্ষণে তবুও ভাঙ্গেনা ঘুম।
জীবন্ত পায়ের ধ্বনি আমাদের
ধমনীতে ভরে দেবে লালস্রোত
এইসব অসবুজ দেহ বৃক্ষদের।

বেরিয়েছি নক্ষত্রর খোজে
যে নক্ষত্র নিভে যায় নিংসঙ্গ বিফলতা
আর প্রয়োজনহীন কৃষ্ণতায়।
শেষ দীপ্তিটুকু তার
এনে দেব হলুদ পাতায়।
এবং ধুসর বৃক্ষের শেকড়ে।
নিজ হাতে প্রান দেব
ধমনীর রক্তস্রোতে
তারপর জ্বেলে দেব
মৃত্যুহীন অগ্নি।

দাবানলে জ্বলে উঠলেই বনভূমি
অন্ধকারের ভেতর
প্রমানিত হবে
কি প্রচণ্ড শক্তি ছিল
এইসব মৃতদের।
ছাইরঙা দেহ থেকে
খুজে নেব
যেমন চেয়েছি
তেমনি জীবন।
যদি চাও
তুমিও আসতে পার
আমরা অনেক হব
শীতের বিকেলে এই।

১৯৮৯/০২/২৩

শতাব্দী শেষ হোক

শতাব্দী শেষ হোক

তারপর

তোমাকে বলা যাবে এক কথা।

এ ভাবে কবিতা হয়না

এ ভাবে বাক্য হয়না।


স্বরযন্ত্র ওঠে নামে।

মৃদুমায় কাঁপে

কার শ্রবণেও কাঁপন ওঠায়

এতদূর পর্যন্ত সফল

অর্থহীন হয়ে ওঠে তবু

যখন স্মরণে আসে

ঘরবন্দী বিকেলে

এ ভাবে আকাশেও নাচন তুলেছিল

ভ্রান্ত রংধনু।

শেষাহ্নে মিলালো অপ্রসারী।

শতাব্দী শেষ হোক।


শত বর্ষের দৃষ্টি, শ্রবণ আর

অনুভূতি নিয়ে

সৃষ্ট নীড়-নির্জনতায়

স্বরযন্ত্র বিশুদ্ধ হবে

সঙ্গতি হবে বাক্যে এবং ভাবনায়।


আমি যা প্রকাশ করি

যথাযথ নয় সে আমার

হৃদয়ের শব্দের।


খোলা জানালা দিয়ে তৃষ্ণায় শুষে

নেওয়া বহুদিন পরের

এক দিগন্ত বাতাসের কোন

প্রতিশব্দ নেই আজো।

আমিও জানিনা তাই।


শতবর্ষ ধরে

সংগতি আসুক।

তারপর তোমাকে বলা যাবে

সেই কথা।

শতাব্দী শেষ হোক।

১৯৮৯/০৭/২৬


প্রতীক্ষা

প্রতীক্ষায় কেটে যাবে প্রতীক্ষার কাল।
অবোধ প্রত্যয়ে তুমি
অনন্ত পর্যায়ে ঘোরো
ঘোরো সময়ের বন্দীবৃত্তে।
তথাপি জান কি?
প্রতিক্ষণ কাটেনাতো প্রতীক্ষায় তবু
দূরে যায় আরো দূরে কাটা
দূর কোন প্রতিপাদে।

বিরহ-বৃত্তের ব্যাপ্তি-কেন্দ্রে
মিলনতো কেবলি বিন্দু
শুধু বিন্দু এক।

প্রতিক্ষণ কাটে মিছে ব্যর্থ প্রতীক্ষায়।

১৯৮৯/০৯/২২

প্রশ্ন

অগণিত রাত আমি কাটিয়েছি একা
নিস্পলক চেয়ে থেকে নক্ষত্রের দিকে,
এ’বাড়ির ছাদ বেয়ে চলে গেছে উড়ে
তারাদের আলো সব যখন ক্ষয়িষ্ণূ
অন্ধকার পার হয়ে ভোরের বেলায়,
ভেবেছি তখন আমি আকাশ প্রদীপ কেন
জ্বলে নিরন্তর জ্বলে অকারণ একা?

১৯৮৯/০২/০২

Sunday, January 9, 2011

আড়ি

পরিধেয় ফুলফুল
সাদা রঙা শাড়িতে
কনিষ্ঠ আংগুল
ক্রীড়াছলে পড়িতে,
মনে করে ভাবি এই
বসে থেকে গাড়িতে
আর মোটে কথা নেই
সাত দিন আড়িতে।।

দ্বন্দ্ব

তোমার যদি সন্দেহ হয় দৈব কিবা দুর্বিপাকে
অথবা ঐ কি বলে যে ভুত না প্রেতে দ্বন্দ্ব থাকে,
কোনটা ভুত আর কোনটা প্রেত তা যদি গোল মাথার টাকে
চিনতে গেলে বিষম চোখে গোলমালে সব সুডোল ঠেকে
ধরতে পার টাকমাথা যে- ভুত সেগুলো জন্ম থেকে।
আর একটু দুটু কয়েক গোছা মাথায় যাদের দূর্বা পাকে
প্রেতের দেশেই বসতি তাদের- জীবন বড়ই দুর্বিপাকে।
নিশ্চয়তা তাদের বেলায়-প্রেত তারা, প্রেত হয়েই থাকে।
কয়েক গাছি চুলের নিচে কপালে তাদের এমনই লেখে।
চুল না হলে দুশ্চিন্তায় চুলগুলো সব কি করে পাকে?

ভুতেরা সবাই ভুতের মতই দৈবটানে হাঁচির নাকে
সুড়সুড়িতে ঘোমটা টেনে মুলোর মত কানটা ঢাকে।
দৈব বলেই এমন ধারা হঠাৎ হঠাৎ দুয়েক লাখে
হাজারে শ'য়েক ঘটে কিনা তাই সবাই তাদের দৈব ডাকে।
এরপরেও ইঞ্চিখানেক দ্বন্দ্ব যদি ভাগের শেষে তোমার অবশিষ্ট থাকে,
প্রেতেরা নয় বুঝব তুমিই, তুমিই আছ দ্বন্দ্বমুলক দুর্বিপাকে।

১৯৯০/০১/২১

ছড়া সব করে রব

লেখার কাগজ শেষে কলম থেমেছে
অবিন্যস্ত চিহ্ন শুধু শ্বেতাংশটি মুছে
তীক্ষ্ণাগ্র ফলার মত পাথরের সারি সব
স্থির দাড়িয়ে রয় - পরিত্যক্ত শব।

১৯৯০/০১/১৯

একটি মেয়ে

পত্র শূন্য বৃক্ষতলে
একটি মেয়ে সঙ্গীহীনা
ছিপ ফেলেছে লক্ষ্য বিনা
মৎস্য শূন্য নদীর জলে।

মায়ায় সবুজ জড়িয়ে তাকে
বৃক্ষ দিল নতুন পত্র
মাছ ছড়ালো যত্রতত্র
মৎস্য নারীর ছিপের ডাকে।

১৯৯৩/০১/১৩

আমাদের বন্ধ চোখে

আমাদের বন্ধ চোখে
খেলে যায় মন্দবায়ু
আমরা চেয়েই কাটাই
দিন রাত রাত্রিদিন,
চেয়ে চেয়ে সন্ধ্যা কাটে
অন্ধকারে জ্বল জ্বল।
নিজেতেই দৃষ্টিঘন
ডুবে থাকি জলডুবুরী

নেড়ে চেড়ে উল্টে দেখা ঝিনুক পাথর কয়লা

সারাদিন ক্লান্তি জমে
স্বগত অবগাহনে
স্নান তবু শেষ হলকি
একলা নিজের ভিতর?

শোনা যায় শব্দ শোশা
দূরাগত মন্দবায়
আকাশে জমাট মেঘের
ও’বাতাস ওঠায় সাড়া

জমছে শক্তি কিসের?

তখনও অন্ধদুচোখ
অনিমেষ শূন্য পথে
চাঁদ পাথরের স্বপ্ন খোঁজে।

১৯৯৩/১০/০৫

কর্ণ

এ ঘোর রজনী
জানি
সেইদিন,
যেইদিন
নীল সমুদ্র
ব্রাত্য শূদ্র
সে চোখ নেবে
শেষ হবে।

ততদিন দেবীসৌন্দর্য
আলোড়িত শূদ্রবীর্য
যদি করে তৃষ্ণার মগ্নতায়।
নগ্নতায়
ঢেকে দৃপ্ত অহংকার
এই নগরীর সিংহদ্বার
ফেলে চল সেই স্থানে
সুর্য ধ্যানে।

১৯৯৪/১২/০৩

Thursday, January 6, 2011

পথের দুধারে

পথের দুধারে বৃক্ষের আড়াল
তোমারে যে ঢাকে
এসেছো তো ঘুর পথে।

দু হাতে নামাও তীক্ষ্ণ আওয়াজে
বৃষ্টি তোমার তবে
আজকে ফেরার পথের পরে।

সব শেষ হলে এই অভিসার
আটকে যাবে
হবেনা যাওয়া।

এত যে ভয় - শেষ হল বুঝি
কাটল আধার
ভাঙ্গবে তখন।

হতে পারে আলো
সেতো মেঘে তবু
ঘনায় আধার
ছায়া তার ঐ চোখে
তোমার শরীর জুড়ে।

কম্প্রকণ্ঠে বলো
সময় শেষের ঘণ্টা
ছাড়াই বাড়ল আজ
মিলন বেলা অনন্তকাল।


১৯৮৯/০৪/১৫

অনীহা

আমিতো কখনো যাইনাতো ভরে
উদ্‌বেগে উদ্‌বেগে।
মেঘের মতই সন্ধ্যার রোদে
নিঃসাড় নিশ্চুপ
আকাশের কোনে গলে ঝরে পড়ি
জল টুপ্‌ টুপ্‌টুপ্‌।
আকাশের কোণে সন্ধ্যার স্রোতে
একা থাকি একা জেগে।

এ’ আমি কখনো আক্রান্ত কি
কর্মমুখর দিনে?
অনেক রাতেরা সিক্ত বাতাসে
সে প্রশ্ন চাপা স্বরে
করে চলে যায় দূরত্ব নিয়ে
না বোধক উত্তরে
আমার অনীহা সে জানিয়ে দেবে
আরেক নতুন দিনে।

ভ্রমরী চিন্তাদল

ফিরে যাওয়া চিন্তাগুলো সব ফিরে আসে
অধিকার করে ক্রমে মস্তিষ্কের শূণ্য কোষ।

হে ভ্রমরী চিন্তাদল, আর কেন ফিরে আসা
নিঃশেষিত মস্তিষ্কের শূণ্য মধুভান্ডে?

১৯৯৪/০৯/২০

প্রহর

প্রহর কাটাই ক্লান্ত প্রহর
একা বসে একা। দুস্তর দূর।
দাবদাহে আজ নিঃসঙ্গ্তা।
জলের গন্ধে দেবদূত সাদা
মেঘাক্ত নীল আকাশে অনামী
প্রতীক্ষায় কি ক্রন্দসী তুমি?
ক্রন্দসী তুমি কি প্রতীক্ষায়
বৃষ্টি বিহীন এ’অন্ধতায়?
কেন চোখ জ্বলে? কি সে মর খুজে?
সঞ্চিত জলে নিজেতেই ভিজে।
বোঝ কিনা বোঝ তবু বেলা যায়।
মিলনের দিন দিন মিছে যায়।
দিন মুছে যায়
দিন তবু যায়।

১৯৮৯/০৪/১৫

রীতি

রাত দেবে মায়া,

সব সময়ের রীতি

তাই বুঝি

রাতেরা বেধেছে আজ

বসন্ত সময়ের রীতিতে।

-----------
১৯৮৯/০৮/২০