Monday, February 21, 2011

পৃথিবীকে দেখা

(এক)

পুরনো ভিতের উপর

স্যাৎসেতে ভিজে ঘর।

বাইরে ঘনবদ্ধ শীত-সন্ধ্যারাত্রি,

বৃষ্টির মত

কুয়াশার ধারা

ঝরে যেতে যেতে একসময় আটকে গেছে

পুকুরের জলের পৃষ্ঠদেশে –

নদীর এপারে হোগলা ঝোপে যেন

নড়ে নড়ে ওঠে ভাসমান খড়।

চাল গুলো নিচু হয়ে কি যেন কি যেন

খোঁজে দরজার বুকের উপর।

দেয়ালে বুঝিবা গুপ্তধন!

সাত রাজার এক মাণিক!

সব কিছু আছে নিশ্চুপ হয়ে

নিশ্চুপ হয়ে থাকে।

অন্ধকারে শুধু এক নিষ্কম্প প্রদীপ।

আগুনের শরীর চিরে চোখে দেখা যায়

পিছনে শিশিরের

ক্রমসঞ্চিত এবং সঞ্চয়মান স্তূপ।

(দুই)

উত্তরের জানালায় আবরণ সরে গেলে

হঠাৎ হঠাৎ শৈত্য আসে।

আশ্চর্য অনেক

এই শীতের রাতেও

প্রদীপটা বিশুদ্ধ হয়ে ওঠে।

শিখা অপসৃত হলে দৃষ্টি রেখায়

স্তুপের শিশির অবিন্যস্ত হয়ে

ভাঙ্গে অনেকক্ষণের বদ্ধ জানালার

স্থির দৃশ্য।

চালটা ঝুকে পড়ে আরো

দরজার বুকের মাঝে
মনে হয় পেয়ে গেছে, পেয়ে যাবে ... পেয়ে যাবে ...

(তিন)

এক সময় সব কিছু নিশ্চুপ হয়ে যায়।

অন্য এক সময় সব কিছু নিশ্চুপ হয়ে থাকে।

একের পরেই অন্য এক তারপর

তারপর আবার উত্তরের জানালা।

এইতো আমার পৃথিবীকে দেখা।

১৯৯০

No comments:

Post a Comment