ভেঙ্গে দীর্ণ – আর্ত-নিনাদে প্রচুরা ক্ষয়িত।
সময়-ধ্বংসে ভুমিলুন্ঠিত
অরক্ষণীয়া সৃষ্টি আমার
আমারই সৃষ্টি।
প্রতিরোধে আমি
আমি এ’ নিশিত তীব্রকন্ঠে আর্তস্বরে
চিৎকার শুনি আপন শ্রবণে
ক্ষয়ের যজ্ঞে এই প্রতিবাদে এটুকুই শুধু প্রতিধ্বনি ফেরে;
পোড়ে, পুড়ে ছাই আমার স্বপ্নে
আমারই শব্দাবলী।
অন্তর্গত নিমগ্নতার এই দুর্দিনে
অসহায় চোখে অসহ দাহনে দগ্ধ শরীর
ইন্ধনকাঠ কণ্ঠ আমার শব্দ-সমূহ।
আর্তকন্ঠ প্রতি-প্রতিধ্বনি।
অসহায় যদি কন্ঠনিরোধী বিষাক্ত শরে
আত্মাভিমুখী টঙ্কার তুলে
চুপ করে থাকি, চুপ করে যাই।
চুপ করে থাকি? চুপ করে যাই?
যদি চুপ করি!
যদি থেমে যাই
তবুও যে আমি আমি যে কোথাও শান্তি পাবনা।
কিছুতে পাই না।
চোখ বুজে তবু
অনুভবে জানি জলন্ত দাহ
চোখে তবু দেখি দগ্ধ শিল্প।
আত্ম-দ্বন্ধে নিজেই দগ্ধ
অপরা প্রান্তে আমারি সৃষ্টি আমারি সন্নিধানে
ক্ষয়িষ্ণূ ক্রমে,
ক্রম বিলুপ্ত।
ভেঙ্গে গেলে হার, দূরে গেলে হার,
দুবে গেলে হার, থেমে গেলে হার।
অতি সঞ্চিত শেষ স্ফুলিঙ্গে তবে সচকিতে
দেখে যাই শেষ
শেষ দেখে যাই।
এ’ অন্ধকার ধ্বংসযজ্ঞে সৃষ্টি জননে নিরন্ত আমি
ব্যপৃত হই নতুন জন্মে।
১৯৮৯
No comments:
Post a Comment