নিজেকে দেখেছি একদিন
ক্রম স্ফুটতর উচ্চারনে
পার হয়ে যেতে বিশাল মাঠ
হারাতে হারাতে লালরঙা এক প্রজাপতির পিছনে
-ধরবই, ধরবই।
দৃঢ়বদ্ধ হাত খোলেনি সেদিন।
ক্ষুদ্র আমি এখন অনেক বড়
সেই বীজ মহীরূহ প্রায়
বীজেরা ছড়িয়ে পড়ে
মহীরূহ শেকড়ে অস্তিত্ব গাড়ে।
বৃক্ষ প্রতিষ্ঠিত হয়।
বৃদ্ধ নই তবু নিজেকে দেখেছি ভেবে
অবিকল বৃদ্ধ সেই
যে জেনেছে নিজ মৃ্ত্যুক্ষন
তবু নির্বিকার শান্ত
এগোবে না, পালাবেনা। না না
ওঠে আর্তনাদ ভয়ংকর
তবু বুক চিরে বের তো হয়না।
সেই বৃদ্ধ যেন আমি
যে ঘোষিত মৃত এই
সকালে যখন রাতের নক্ষত্র জ্বলে
মানুষের চোখের তারায়
নেমে এসে মৃত্তিকার পৃথিবীতে।
উত্তোলিত দুইবাহু - তাতে
সমর্পনের ভঙ্গিমা নিয়ে
-আত্মসমর্পন?
শেষতম অস্ত্র তো বিশ্বাস
সেটুকু হারিয়ে ফেলে
দু’হাতের তালু আজ প্রসারিত
গ্লানিময় ধুলো নিয়ে
সুর্যাস্তের দিকে।
কখনো কি মুষ্টিবদ্ধ ছিল
প্রশ্ন প্রানপণ
তবু সুর্য ডুবে গেছে
উত্তরটুকু না দিয়ে
ঘৃনায় লজ্জায়।
এত রক্ত, এত কালো দুই হাতে
তবু তবু
অপমানে বেদনায়
এমনকি ক্লান্তিতেও
আঙ্গুলগুলো হাতের মৃত্যুহীন ক্লীবতায়
কখনো তো হয়ে ওঠেনা নীল।
১৯৯০
No comments:
Post a Comment