তৃষ্ণার থেকেও বহুদূরে এই
জলের সন্ধান,
তোমাদের থেকে আরো দূরে
একাকী নির্জনে।
একাকী নিরন্তে।
সাধারণ অভিমুখে যাত্রাপথ সে এক
গতায়ু কালের স্মারক প্রতিজ্ঞা।
তখন নিরক্ত মৃদু সকালের
আনন্দিত হেটে যাওয়া লক্ষ্যহীন,
সে সমস্ত বিগত, বিগত সৌরপথে,
অন্তর্বতী ব্যবধান – শতশত
জোয়ার এবং ভাঁটা।
মধ্যাহ্নের মুখোমুখি। এখন দুচোখে
ছিন্নমস্তা স্মরণের কঙ্কালদেহ
বহুদূরে রেখায়িত অসৃষ্ট অজাত।
তৃষ্ণা নিয়ে জোয়ারে জোয়ারে
বিছিন্ন প্রভায়
ক্রমেই বিচ্ছিন্নমান এই
ক্রান্তিকালে মৃদুতা অসহ।
“জ্বলে ওঠ, জ্বলে ওঠ, তীব্র – তীব্র হও
হন্তারক হও
একাকী জগতে অপূর্ন অতএব
অশেষ হও”’
শুনিতো চতুর্দিকে উদীচী, প্রতীচ্যে, প্রাচ্যে
এবং গহন গভীরে নিজের।
১৯৮৯/০৯/০৯
No comments:
Post a Comment