তুমি আমার সেই নদীটির মত
আমি তাতে মেঘ-জল নিয়ে ঝরি।
জন্ম তোমার আকস্মিকে
সৃষ্টি তুমি যত্নপ্রভায়
আমার নিঝুম একাগ্রতায়
আমি মেখে পুর্ন করি - ঝিরি ঝিরি বাতাসে স্বর
পুনর্বার তাই তুমি নদী।
বলেছিলে – ডুবতে পার? ডোব দেখি
উত্তরে এই মিশে গেছি ভঙ্গিল দেহে।
টের পাও তুমি কত গভীর এই
নিমজ্জনে পরিমিলন?
আমি তো পাই। কারন আজোতো
ডুবে আছি নিথর তলে।
বললে চল – আগুনে যাই, আমার আগুনে।
অনেক গভীর নিম্ন টানে একাকারে চলি।
আপন অগ্নি তবু তাতে তুমি
তবু বিভ্রান্ত হও।
আগুন খোজ? হারাও আবার?
কি প্রয়োজন এই সন্ধানে?
জানোনা তো, জানো নাকি -
নিরন্তরে দগ্ধ হয়ে চলি
আগুন থেকে উৎসরিত আমরা মিলি দগ্ধ মিলনে।
আগুন জুড়েই বাস্তুভুমি
গন্তব্যও এক অগ্নি ক্ষেত্রে স্থিত
চলিষ্ণুতার লক্ষ্য সেতো বন্দী
অগ্নিগর্ভে।
কেন্দ্র। ব্যাপ্তি, পরিধি সে সমস্ত পথ ঢেকে ধুলোয়
দগ্ধাবশেষ।
সেই যে নদী তেমন তুমি
আগুনের মেঘ আমি ঝরি
দগ্ধ করি, পূর্ণ করি।
অতঃপরে,
স্থিত হয়ে থাকি তোমার বীজ ঘুমে।
তুমি চলমানতার রূপ খুজে খুজে হলে নদী
নির্ঝরিনী
তাতে মিলি আমি।
দূর ওই দিকে এই আমিতো
আমার স্থিত অহমিকায়
অস্পর্শী এক অগ্নিসূত
পর্বতমালা।
১৯৯০
No comments:
Post a Comment