সারাটা বসতী নৈঃশব্দে আক্রান্ত
এখন গভীর রাত।
বিসরণে ক্লান্ত
মানুষের দূরাগত কন্ঠ ধ্বনি
শ্রবণের সীমা ভাঙ্গে
মন্থর দু’পায়ে।
অনিদ্র চোখেরা অন্ধকারে
জাগে নিদ্রাহীন দৃষ্টি মেলে
নিরব শিকারী কান
খুজে নিতে নিজস্ব নির্গত শব্দ
শূণ্য করে পুর্ন তূণ।
নিঃশব্দ উন্মুখ আয়োজন শুধু।
আয়োজন চারিদিকে
আসন্ন উৎসবে জ্বলে দীপাবলি।
কালো কৃষ্ণ অন্ধকার হাত
ভেদ করে অন্ধকারে
ভেদ করে ভেদ করে ভেদ করে তবু থেমে যায়।
প্রগাঢ় অন্ধত্ব বিজিত অগ্নিকণায় তবু
দীপাবলি পরাজিত
অচল নিঃসঙ্গতায়
এত আয়োজন তবু একা আরো একা
একা আমি জেনেছি নিশ্চুপে
কত যে শীতল এই নিজের ভিতর
ঢুকে যাওয়া ডুবে যাওয়া।
শব্দের সন্ধানে নিরন্তর একা
গভীর নিসর্গ ভেঙ্গে
নিরস্ত্র শিকারি চলি
নেচে ফিরি ক্ষীনজীবী উদ্দাম উৎসবে
দুপায়ে মাড়িয়ে সব
ক্রমেই চলেছি দূরে
আমিতো নিজের গভীর গভীরে
একে একে একা একা।
১৯৯৩
No comments:
Post a Comment