পিছনের পথে নিশ্চেষ্ট পায়ের চিহ্ন
একা একা এক জোড়া।
আমার দু চোখে নামে অন্ধকার
ওঠে অন্ধকার – চারিদিকে ব্যাপ্ত,
নির্জন পাহাড়ে গভীর সংকীর্ন গিরিপথে।
সংকীর্নতায় প্রবেশ স্খলিত যাত্রায়
প্রেক্ষাপটে উৎস ঢেকে নগ্ন উন্নতিতে
প্রতিফলিত আলোর নাচন দুচোখে
অস্বীকার করি।
আমার দুচোখে মত্ত
প্রতিবাদে
দুর্বিনিত অন্ধকার।
আরো একা একা একা কোন শীর্ণ পাথরে
জলের নিঃশ্বাসে স্তিমিত
বিপুল ব্যর্থ অহংকারে
পাথরে আসন নিই।
প্রদীপ্ত নিথর চোখ কুয়াশায় মগ্ন আত্মহারা।
অন্ধকারে সমর্থক
ঘরে ফেরা আর দলে ভেড়া আজ।
একাকী অতল অহংকারে নিজেতে নিমগ্ন
নিমগ্ন নিজেতে
শ্রেয়তর জ্ঞানে
বিচ্ছিন্ন মানুষ আমি – দিব্য।
পিছনে তির্যক পথরেখা
বিলীয়মান পায়ের চিহ্ন।
কখনো ছিলাম আমি
এইতো এখনো আছি
অথবা আবার থাকব।
ত্রিকালের কোন ছায়া চরাচরে নেই।
আতত অন্ধকার।
স্থবিরতা চোখ ভরে –
ধ্বংস গ্রহণযোগ্য
আজ মৃত্যু সহনীয়।
বিপরীত স্রোতে হোক
অনন্তর ক্ষয় – চেতনায়
স্থির অবস্থানে।
কেননা সুজ্ঞাত
নিজেরি সৃষ্ট এ’
প্রতিরোধী অন্ধকারে
সমার্থক আজ
ঘরে ফেরা আর দলে ভেড়া।
১৯৯০
No comments:
Post a Comment